বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক থানা কমান্ডার নিহতের পর অসহায় পরিবারকে ধ্বংসের ষরযন্ত্র

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক থানা কমান্ডার নিহতের পর অসহায় পরিবারকে ধ্বংসের ষরযন্ত্র
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক থানা কমান্ডার নিহতের পর অসহায় পরিবারকে ধ্বংসের ষরযন্ত্র

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক থানা কমান্ডার নিহতের পর 

অসহায় পরিবারকে ধ্বংসের ষরযন্ত্রঃ

উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি:

বরিশালের উজিরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক থানা কমান্ডার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, বিআরডিবি সাবেক চেয়ারম্যান, বি,এন, খান কলেজের সাবেক সাধারন সম্পাদক, পঞ্চগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পঞ্চগ্রাম হাটের প্রতিষ্ঠাতা মৃত- আব্দুর রশিদ মোল্লা অসহায় পরিবারের জমি দখল করতে দীর্ঘদিন যাবৎ দক্ষিন বঙ্গের চিহ্নিত এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের নিয়ে বিভিন্ন ষরযন্ত্র সম্প্রতি গত ২৭শে জানুয়ারী-২০২৩ইং কয়েকটি গনমাধ্যমে মিথ্যে, বানোয়াট ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীদের গডফাদার বাবুল ওরফে ইন্জিনিয়ার বাবুল, অভিযোগ ভূক্তোভোগী পরিবারের। যা এই বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটির সুনাম ক্ষুন্ন করছে।

বাবুলের অপকর্মের বিয়য়ে অসহায় পরিবারটি লিখিতভাবে জানান, ১৯৯৪ সালে জিয়া গ্রুপের হাতে নির্মমভাবে হত্যা হন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক থানা কমান্ডার আব্দুর রশিদ মোল্লা। তবে রশিদ মোল্লা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামীদের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজা খেটে বের হওয়া আসামী এই অসহায় পরিবারের কাছে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী অর্থদানকারী এই বাবুল বলে জানান। মৃত-রশিদ মোল্লা বড় সন্তান আহম্মেদুল কবির বিপ্লব মোল্লা জানান, তার বাবার হত্যার পর যখন তার মা ছোট ছোট তিন ছেলে এক মেয়ে নিয়ে অসহায় হয়ে পরেন এবং তাদের পরিবারটি শোকাহত ঠিক তখনই বাবুলের নির্দেশে বার বার রশিদ হাওলাদার ওরফে ডিগ্রি টাক রশিদকে পাঠিয়ে জমি বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব দেয়। পরে পিতা হারানো এতিম ছেলেদের বাচাঁতে এবং হত্যা মামলা চালাতে রাজি হন তাদের মা।

কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বামী হারা এতিম সন্তানদের জমি লিখে নেয় ঠিকই তবে জমির পরিবর্তে কোন অর্থ প্রদান না করে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে এবং পরবর্তিতে জমিসহ অন্যান্য জমি দখল করতে ধারাবাহিক ভাবে এই অসহায় পরিবারটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষরযন্ত্র করতে থাকে। এই অসহায় পরিবারটির প্রায় বিশ (২০) লক্ষ টাকার গাছ আত্মসাৎ করে সন্ত্রাসীর মুল হোতা বাবুল।  এছাড়াও একজন মৃত- বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ব্যাঙ্গ কটুক্তি করে অপপ্রচার চালায় যাহা জাতির সকল শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আপমান করার কারনে এর তীব্র নিন্দা জানান অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা। ১৯৯৪ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ মোল্লা হত্যার পর তার সন্তানরা ধীরে ধীরে পিতার সম্মানের কথা বিবেচনা করে সুনামের সাথে বড় হতে থাকে।

রশিদ মোল্লা সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে আহম্মেদুল কবির বিপ্লব মোল্লা। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী, শিক্ষাণুরাগী এবং উজিরপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে গড়ে তুলেন মোল্লা পার্ক। দ্বিতীয় সন্তান রফিকুল ইসলাম শিপন মোল্লা। তিনি একজন সফল পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে এবং দক্ষিন বাংলার আওয়ামী লীগের অভিবাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ উজিরপুর উপজেলা শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক   সাবেক সাধারণ সম্পাদক উজিরপুর প্রেস ক্লাব এবং  বর্তমানে উজিরপুর উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তৃতীয় সন্তান রিপন মোল্লা উজিরপুর পৌরসভার বার বার নির্বাচিত একজন সফল কমিশনার প্যানেল মেয়র। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে এবং দক্ষিন বাংলার আওয়ামী লীগের অভিবাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ দিক নির্দেশনায় ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে বর্তমানে উজিরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও মৃত-রশিদ মোল্লা একমাত্র কন্যা সন্তান প্রতিবন্ধী। বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি বঙ্গবন্ধু তার পরিবারকে ভালোবেসে শেখ রাসেলের নামেশেখ রাসেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়শিশু কল্যাণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মসজিদের নামে সত্তর (৭০) শতাংশ জমি দান করে।

বাবুল গ্রুপের অত্যাচার, নির্যাতন, ষরযন্ত্র অপপ্রচারে অতিষ্ট এবং বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকিতে আতংক নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে অসহায় পরিবারটি। যার কারনে নিরাপত্তা   উক্ত সন্ত্রাসী গ্রুপের হাত থেকে রেহাই পেতে  এবং নিরাপত্তা চেয়ে উজিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। যাহার নং-(১৪৮৮) পিতা হারানো এতিম প্রতিবন্ধী সন্তান এবং স্বামীহারা স্ত্রী বাবুল গ্রুপের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মিথ্যা ষরযন্ত্র, অপপ্রচার, অবৈধ জমি দখল বিভিন্ন হুমকির হাত থেকে মুক্তি পেতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

Previous Post Next Post