সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফাঁকি দিয়ে আদালতের মামলা পরিচালনায় প্রধান শিক্ষক

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফাঁকি দিয়ে আদালতের মামলা পরিচালনায় প্রধান শিক্ষক

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফাঁকি দিয়ে আদালতের মামলা পরিচালনায় প্রধান শিক্ষক
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফাঁকি দিয়ে আদালতের মামলা পরিচালনায় প্রধান শিক্ষক


ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:


নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা টেপাখড়ীবাড়ী মুক্তা নিকেতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুঁল ফাকি দিয়ে আদালতে  মামলা পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে।  উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী ইনছান আলী ৭টি মামলার বাদী ও ৭টি মামলার বিবাদী। মাসের অধিকাংশ সময় আদালকে হাজিরা ও নিজের মামলার তকদির করতে সময় পার করলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কিছুই জানে মর্মে জানায়। মার্চ মাসের ৫টি মামলায় ৪টি নীলফামারীতে গিয়ে স্বাক্ষ ও হাজীরা দিয়েছে উক্ত প্রধান শিক্ষক।

জানা যায়, টেপাখড়িবাড়ী মুক্তা নিকেতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইনছান আলী  জিআর-২০৪ তা-১৪/১/২২, সহকারী জজ আদালত ডিমলা মামলা নং- অন্য-১১৫/২১ তাং ৪/২/২১, পিটিশন মামলা নং- ৪৮/১৬ তাং ১৭/৮/১৬, ডিমলা থানার মামলা নং-০৩/১৭ তাং ১০/০১/১৭, জেলা দায়রা জজ আদালত নীলফামারীর মামলা নং-২৯/২২ তাং ১/৬/২২, গয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে গত ২৩/২/২৩ ও ২৮/২/২৩ তারিখে দুইটিসহ ৭টি মামলার বাদী।

অপরদিকে সহকারী জজ আদালত ডিমলার অন্য- ৩৩/১৯, নীলফামারী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পিং- ৩৩/২৩, ডিমলা থানার মামলা নং- ২২ তাং ১৮/০৮/২২, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মোকাদ্দমা নং-০৬/২২, সহকারী জজ আদালত নীলফামারী মামলা নং-১৬৬/২২ সহ ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট ২টি মামলাসহ ৭টি মামলার আসামী।  ইনছান আলী জাল স্টাম্প দিয়ে ত্রান মন্ত্রনালয়ের সম্পতি লিখে নেয়ার  ইউপি চেয়ারম্যান নিকট গত ০৭/০২/২২ তারিখে অভিযোগ দিয়েছে লিটন কাজী।

অভিযোগ উঠেছে কাজী ইনছান আলী দীঘদিন এলাকার নিরুহ লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় অনেক সর্বসান্ত হয়ে পড়েছে। চলতি মাসের ১৩ মার্চ  মামলা নং-  ২০৮/২২, ১৪ মার্চ  মামলা নং- ১৮৭/২২,  ১৫ মার্চ  ৫৮/১,  ২০ মার্চ- মামলা নং অন্য ২৯/২২  তাথিয়ের আলাদেও মাললায় উপস্থি ছিলেন প্রধান শিক্ষক কাজী ইনছান আলী। অপরদিকে  গত ২২ মার্চ অন্য -৩৩/১৯ আদলতে ধার্য তারিখ থাকলে প্রধান শিক্ষক ্এ্যাডভোকেটর মাধ্যমে কাগজপত্র দাখিল কার কথা স্বীকার করেন । অভিযোগ উঠেছে সরকারী প্রাথদিক বিদ্যালয়ের চাকুরী ফাকি দিয়ে তিনি মাসে  ৪/ ৫ কায্যদিবসে নীলফামারী আদালতে মামলা তকদির করতে যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সহকারী শিক্ষক বলেন,  প্রধান শিক্ষকের  বিভিন্ন মামলার কারনে নিয়নিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সুযোগ নেই। তিনি হাজিরা খাতা তার আলমারীতে ডুকে রাখেন।

বিদ্যালয়ের সভাপতি সেলিম হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষকের পারিবারিক বিষয়ের কোন তথ্য জানা নেই। আদালতে মামলা পরিচালনার কোন ছুটি কিংবা তথ্য জানা নেই।
প্রধান শিক্ষক ইনছান আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে কেহ মামলা দিলে তো আমিও তার বিরুদ্ধে মামলা দিব। বর্তমানে আদালতে কয়টি মামলা বিচারাধীন প্রসঙ্গ বলেন ২/৩টি হবে। এ মাসে কয়দিন মামলার হাজিরা ও জবানবন্দী দিয়েছেন বিষয়ে বলেন, আদালতে খোজ নেন।

ডিমলা প্রাথমিক শিক্ষক কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বলেন, টেপাখড়িবাড়ী মুক্তা নিকেতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইনছান আলী বিরুদ্ধে ১৪টি মামলার তকদির করার জন্য প্রতিমাসে ৪/৫ দিন আদালতে যান বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সংশ্লিস্ট সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলব বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।

Previous Post Next Post